এই ২৫টি সংস্থার ৪০টি ওষুধ নিম্নমানের! তালিকায় চেনা অ্যালার্জি গ্যাসের ওষুধ, দেখে নিন এখনই
(১/৯) সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)-এর তরফ থেকে করা একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) ২৫ টি ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে তৈরি ৪০টি ঔষধ এবং ইনজেকশনগুলির মান বেশ নিম্নতর।
(২/৯) উক্ত যে সকল ঔষধের মানের হেরফের ঘটিয়েছে কতৃপক্ষ সেগুলি হল – গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ ও ইনজেকশন। এছাড়াও অ্যালার্জি, মৃগী, কাশি, অ্যান্টিবায়োটিক, ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, জ্বর, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ সহ একাধিক ওষুধ। এই তালিকায় রয়েছে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট এবং মাল্টি-ভিটামিনের মত ওষুধও।
(৩/৯) CDSCO-এর তরফ থেকে গত ডিসেম্বর একটি ড্রাগ সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। তা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, জানা গিয়েছে যে, নিম্ন গুণগত মানের যে ঔষধ গুলি পাওয়া গিয়েছে সেগুলি বাড্ডি, বারোটিওয়ালা, নালাগড়, সোলান, কালা আম্ব, পবন্ত সাহেব, সংসারপুর টেরেসের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে প্রস্তুত করা হয়েছিল।
(৪/৯) ঝাড়মাজরির কানহা বায়োজেনেটিক্সে প্রস্তুত ভিটামিন ডি৩ (Vitamin D3) ওষুধের ৫টি নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায় উক্ত ওষুধের গুণগত মান সঠিক নয়। উক্ত সমীক্ষায় ২৫টি ওষুধ কোম্পানির নাম নথিভুক্ত হয়েছে। তার মধ্যে বরাংবার পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে যে, একাধিক কোম্পানির ওষুধের গুণগত মান নিম্নমানের।
(৫/৯) এছাড়াও উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand), পঞ্জাব (Punjab), গুজরাট (Gujarat), অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh), উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh), মুম্বই (Mumbai), তেলঙ্গানা (Telangana), দিল্লি (Delhi) থেকেও ৩৮ রকমের ওষুধ পরীক্ষা করে দেখা গেছে উক্ত ওষুধের মান গুলি নিম্নতর। তাছাড়াও বড্ডি-এর অ্যালায়েন্স বায়োটেক দ্বারা তৈরি রক্তের জমাট বাধা চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হেপারিন সোডিয়াম ইনজেকশনের ৮টি নমুনার মান নিম্নতর।
(৬/৯) CDSCO-এর তরফ থেকে প্রকাশিত ড্রাগ সতর্কবার্তায় ঘোষিত নিম্নমানের ৫০ শতাংশরও বেশি ওষুধ তৈরি হচ্ছে হিমাচল প্রদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলিতে। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (Central Drugs Standard Control Organisation) গত ডিসেম্বর মাসে ১০০৮টি ওষুধের নমুনা পরীক্ষা করে যার মধ্যে ৭৮ টি ওষুধ নিম্নমানের এবং ৯৩০ টি ওষুধ মান গুরুতর হেরফের দেখা যায়।
(৭/৯) গত মঙ্গলবার দিন উক্ত তদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। চেন্নাই, মুম্বাই, গাজিয়াবাদ, আহমেদাবাদ, হায়দ্রাবাদ, হিমাচল, ওড়িশা, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয়, সিডিএসসিও বাদ্দি, ঋষিকেশ, গাজিয়াবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, কলকাতা, ইত্যাদি ড্রাগ ডিপার্টমেন্ট থেকে উক্ত ওষুধের নমুনা গুলি সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত ওষুধের নমুনা গুলি CDL ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়।
(৮/৯) ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষিত ড্রাগ টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, যে ঔষধ গুলির মান নিম্নমানের সেগুলির মধ্যে রয়েছে- সোডিয়াম ভালপ্রোয়েট ট্যাবলেট, একটি পেনিসিলিন ক্যাপসুল, অ্যামোক্সিসিলিন ক্যাপসুল, ট্রাইকোলাইন ক্যাপসুল, অ্যামোক্সিকোল, অ্যাসিড, অ্যাসোসিয়েশন। ল্যাইন এবং রুটোসাইড ট্রাইহাইড্রেট ট্যাবলেট, একটি ব্রক্সোল। হাইড্রোক্লোরাইড, টারবুটালিন সালফেট, গুয়াইফেনেসিন এবং মেন্থল সিরাপ, মন্টেলুকাস্ট সোডিয়াম এবং লেভোসেটিরিজিন ডাইহাইড্রোক্লোরাইড ট্যাবলেট, টেলমিসার্টান ট্যাবলেট, প্রিগাবালিন ট্যাবলেট, সাইপ্রোহেপ্টাডিন এইচসিএল এবং ট্রাইকোলিন সাইট্রেট সিরাপ সহ একাধিক ওষুধ।
(৯/৯) ডেপুটি ড্রাগ কন্ট্রোলার মনীশ কাপুর বলেন, যে সমস্ত কোম্পানির ওষুধের মান নিম্নতর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে সেই সমস্ত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিকে সঠিক কারণ দেখার জন্য নোটিশ জারি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যাচের পুরো স্টক রিটার্ন করে নেওয়ার জন্য উক্ত কোম্পানিকে আদেশ জারি করা হয়েছে।