Make Money: ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়বে হু হু করে, শুধু এই পদ্ধতি মেনে চলতে হবে
Money Making Tips: লভ্যাংশের পরিমাণ হবে দ্বিগুণ। এটি একদমই খরচ সাপেক্ষ ব্যাপার নয়। এই ফসল চাষ করতে পরিচর্যার জন্য খুব একটা বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। সেজন্যই কৃষক মহলে অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আধুনিক চাষের পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে সবজি বা ফলের চাষ করা হয় থাকে। মালদহ জেলার কৃষকরা এই মালচিং পদ্ধতি অবলম্বন করে শসা চাষ করে প্রচুর লাভবান হয়েছেন।
এই পদ্ধতিতে চাষ করার ফলে খুব অল্প সময়ে ফসল ফলাতে পারছেন কৃষকরা এবং জলের জন্য বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে না তাদের। এই সময় তেমন বৃষ্টিপাত না হয় সেচের জলের উপর নির্ভর করে চাষাবাদ করতে হচ্ছে কৃষকদের।
চৈত্র মাসে মালচিং পদ্ধতি অবলম্বন করে শসা চাষ করে গাছের ব্যাপক বৃদ্ধি ঘটিয়েছেন কৃষকরা। এই পদ্ধতিতে চাষের ফলে অতি দ্রুত ফলন হবে এবং তা সহজেই বাজারজাত করতে পারবেন কৃষকরা। মালদহে হবিবপুর ব্লকের আনন্তপুরের বাসিন্দা পবন ঘোষ চিরাচরিত চাষের পদ্ধতি অবলম্বন না করে এই সময়ে প্রায় দুই বিঘা জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে শসা চাষ করেছেন।
চলতি বছর মার্চ মাসের প্রথম দিকে এই শসা চাষ শুরু করেছিলেন তিনি। চাষির কথায়, গাছে ফলন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন মালচিং পদ্ধতিতে এই চাষ শুরু করার জন্যই এত দ্রুত গাছের বৃদ্ধি ও ফলন সম্ভব হয়েছে।
আরও পড়ুন👉: SBI-তে অ্যাকাউন্ট আছে? ৩১ মার্চের মধ্যে এই কাজটি করলেই লাগবে লটারি
কৃষক পবন ঘোষ জানান, মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করে শসার ফলন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই চাষে খরচ অনেকটাই কম। চাষের প্রয়োজনে জলের জন্য বৃষ্টির জলের উপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে না। মালচিং পদ্ধতি অবলম্বন করে বছরে দুবার শসা চাষ করার সম্ভাবনার কথা বলেছেন তিনি।
মালচিং পদ্ধতি কি?
বর্তমানে সবজি চাষের ক্ষেত্রে এই মালচিং পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে বিশেষ এক ধরনের পলিথিন দিয়ে গাছের গোড়া ঢেকে রাখা হয়। তাই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে চাষ করলে গাছের গোড়া ঠিক থাকে।
এই পদ্ধতিতে প্রথমে জমির উপর ফালি তৈরি করা হয়। ভালোভাবে জৈব সার মিশিয়ে চারা গাছ রোপন করা হয়। পলিথিনে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র করা হয় চারা গাছ বসানোর জন্য। তারপর বাকি অংশ মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এই বিশেষ পলিথিনের নিচের অংশটি কালো রংয়ের এবং ওপরের অংশটি সাদা চকচকে। মালচিং পদ্ধতি অবলম্বন করে চাষ করলে জমিতে আগাছা জন্মানোর সম্ভাবনা থাকে না।
আরও পড়ুন👉: Lok Sabha Election 2024: আপনার কেন্দ্রের প্রার্থীর নামে কী কী কেস আছে? মোবাইলে চেক করুন এইভাবে
এই পদ্ধতি অবলম্বন করে চাষ করলে মাটির জৈব পুষ্টি গাছের মধ্যে থাকে। এর ফলে পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে গাছ আক্রান্ত হয় না। গাছের রোগের সম্ভাবনা খুবই কম। গাছের গোড়ায় চকচকে পলিথিন ব্যবহার করায় সমস্ত পোকামাকড় গাছের ওপর না বসে চকচকে পলিথিনের উপর বসে।
বর্তমানে মালচিং পদ্ধতি একটি বহুল প্রচলিত চাষের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। চিরাচরিত পদ্ধতি ছেড়ে কৃষকরা এই পদ্ধতিতে চাষ করছেন। এই পদ্ধতিতে চাষ করলে চাষীরা প্রায় দ্বিগুণ লাভবান হবেন। শসা চাষের ক্ষেত্রে মালচিং পদ্ধতি অবলম্বন করে মালদহ জেলার কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন।