WBSSC: নবম-দশমে ২,০৮১ জন শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম! নিয়োগ দুর্নীতিতে ৩৬৫ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার
WBSSC: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বড় খবর। গত শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানায় যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অর্থ বাজারের তদন্ত করে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩৬৫ কোটি টাকারও বেশি সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর এরুপ মন্তব্য শোনার পর ফেডারেল এজেন্সির তরফ থেকে জানানো হয় যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (West Bengal School Service Commission) প্রাক্তন উপদেষ্টা এবং সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির সাথে জড়িত একজনের থেকে প্রায় ২৩০ কোটিরও বেশি টাকা উদ্ধার করা হয়। এই টাকা উদ্ধারের পরে মানে লন্ডারিং বিরোধী আইনের অধীনে তারা একটি সর্বশেষ আদেশ জারি করে।
প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং প্রসন্ন কুমার রায়ের নামে জমির দলিল এবং একটি ফ্ল্যাট সংযুক্ত করার জন্য একটি অস্থায়ী আদেশ জারি করা হয়েছে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর তরফ থেকে এই আদেশ জারি করা হয়েছে। এই ব্যক্তিদের নামে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল যে তারা এসব নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত ছিলেন এবং একাধিক চাকরি প্রার্থীর কাছে থেকে তারা অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে ওই দুই জন ব্যক্তি সহকারী শিক্ষক নিয়োগের আশা জানিয়ে এই অর্থ হস্তান্তর করেছিল। ওই দুইজন ব্যক্তিকে ইডি গ্রেপ্তার করে এবং বর্তমানে তারা বিচার বিভাগীয় হেফাজতে কারাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত আরো একটি মামলার তদন্তের দায়ভার নিয়েছে ইডি। আর এখনো পর্যন্ত এই নিয়োগে ১৩৫ কোটি টাকা উদ্ধার করা গেছে।
আরও পড়ুন👉: Heat Wave: পশ্চিমবঙ্গের এই ৮ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি! আপনার জেলাও আছে কি না দেখে নিন
পশ্চিমবঙ্গের এখনো পর্যন্ত যে দুটি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে সেই দুটি নিয়োগে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ৩৬৫.৬০ কোটি টাকা উদ্ধার করা গেছে। এর মধ্যে একাধিক ব্যক্তি এই অথবা নিজেদের নামে জমি ক্রয় করেছিল। তার মধ্যে প্রসন্ন কুমার রায় নামে একজন ব্যক্তি পাথরঘাটায় প্রায় ৯৬ কাটা, মহেশতলার ২৮২ কাটা, নিউটাউনে ১৩৬ কাটা, ও সুলতানপুরে ১১৭ কাটার খোঁজ পাওয়া গেছে।
শান্তি প্রসাদ সিনহা নামের ওই ব্যক্তির নামেও একাধিক জায়গায় জমিজমা সম্পত্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। তার নামে বেঙ্গল অম্বুজা হাউসিং পূর্ব যাদবপুর, কলকাতায় রয়েছে একটি ‘বেনামি’ ফ্যাট, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাপাসটিতে দুটি জমি রয়েছে।
সিবিআই-এর একটি এফআইআর থেকে অর্থ পাচারের নামে মামলাটি করা হয়। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীতে যে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছিল তাতে টাকা দ্বারা অযোগ্য, অ-তালিকাভুক্ত ও নিম্ন র্যাঙ্কের প্রার্থীদের নিয়ে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছিল, আর তার বিরুদ্ধে এই মামলাটি করা হয়।
আরও পড়ুন👉: 7th Pay Commission: DA-এর পরে HRA! সরকারি কর্মীদের প্রচুর বেতন বৃদ্ধি! জেনে নিন বিস্তারিত
এই নিয়োগ সম্পর্কে একাধিক অনিয়ম ঘটেছে এই নিয়োগে শুধু তাই নয় যোগ্যপ্রার্থীদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের নিয়োগ করা হয়েছে।
এই মামলায় ইডি যে তদন্ত পেশ করে সেখানে দেখা যায় মোট ২০৮১ জন প্রার্থীকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়। যার মধ্যে নবম থেকে দশম শ্রেণির জন্য ছিল ১১৩৫ জন এবং একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ছিল ৮৪৬ জন। এই নিয়োগগুলি করেছিল WBSSC-এর কয়েকজন আধিকারিক।
আরও পড়ুন👉: LIC-এর এই স্কিমে ৮ লক্ষ টাকা পাবেন প্রতি মাসে মাত্র ১,৮০০ টাকা জমা করে, বিস্তারিত জেনে নিন
গুরুত্বপূর্ণ লিংক
আরও পড়ুন👉: মোট 2.34 কোটি টাকা জরিমানা ১৮,০০০ জনেরও বেশি শিক্ষককে! কারণ জানলে অবাক হবেন