Madhyamik Result: ভাল নম্বর পেতে মোবাইল থেকে দূরে, মাধ্যমিকে সাফল্যর দিশা দেখালেন নরেন্দ্রপুরের মহারাজ
এই বছর মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২ মে তারিখে। একাধিক জায়গার ছাত্রছাত্রী ভালো রেজাল্ট করেছে। আর প্রতিবছরের মত নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের ছাত্রছাত্রীরা এইবারও ভালো রেজাল্ট করেছে। এইবারে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে মেধা তালিকায় মোট ৫৭ জন উঠে এসেছে তার মধ্যে ৬ জন হলো ওই মিশনের ছাত্র।
এখানে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও মানসিক সাংস্কৃতিক বিকাশের দিকেও নজর রাখা হয়। অন্যান্য সাধারণ দিন তো বটেই তাছাড়া পরীক্ষার দিনেও তারা শরীরের চর্চা বাদ দেয় না। প্রতিদিন সকালে উঠে ব্যায়াম, যোগাসন করা, প্রার্থনা করা এগুলো হলো নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রতিদিনের কাজ।
পড়ুয়াদের এই বিরাট সাফল্যের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করাতে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দজি জানান তাদের মিশনের কোন ছাত্রের কাছে স্মার্টফোন নেই আর এটি হল তাদের সাফল্যের অন্যতম কারণ।
তাঁর মতে, “এই যুগে দাঁড়িয়ে আমি বারবার যা গুরুত্ব দিয়ে থাকি এবং বলে থাকি তা হল, আমাদের এখানে ছাত্রদের হাতে কিন্তু মোবাইল ফোন থাকে না। একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনের দরকার আছে, একথা অনস্বীকার্য। কিন্তু ১৬-১৮ বছরের ছাত্রদের ক্ষেত্রে হাতে ফোন থাকলে মন বিঘ্নিত হয়ে থাকতেই পারে।”
এছাড়াও তিনি আরো বলেন যে, “আমাদের এখানে মোবাইল না থাকায় নিরবিচ্ছিন্ন পড়াশোনা করা, একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। একসঙ্গে একে অপরকে সাহায্য করে এগিয়ে চলে সকলে।”
তবে এগুলোর কি সাফল্যের সবকিছু কারণ একেবারেই নয় সাফল্যের পেছনে আরো একাধিক কারণ রয়েছে যে কারণগুলিকে সযত্নে গুরুত্ব দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বৌদ্ধিক ও মানসিক বিকাশ ঘটিয়ে সাফল্যের জন্য প্রস্তুত করা হয়।
এই প্রসঙ্গে ওই মিশনের প্রধান শিক্ষক স্বামী ইষ্টেশানন্দজি বলেন, “নরেন্দ্রপুর একটি সম্পূর্ণ আবাসিক বিদ্যালয়। ছাত্ররা এখানে থেকে পড়াশুনো করে। ছাত্রদের সুবিধা অসুবিধা একে অপরকে পাশে পেয়ে থাকে। নরেন্দ্রপুরে তপোবনের মতো পরিবেশ রয়েছে। যা মনসংযোগ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যর জন্য।”
তবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য যে একেবারেই ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না তা নয়, বর্তমান আধুনিক দিকের কথা মাথায় রেখে এই প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের কম্পিউটার শেখানো হয়। এবং প্রয়োজনে তারা এখান থেকে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে নিতে পারে।
এই প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের বৌদ্ধিক মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের কথা মাথায় রেখে তাদের সব রকম পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করে তোলে যার ফলস্বরূপ তারা জীবনের প্রথম ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছে ও নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম উজ্জ্বল করেছে।