১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট
(১/৭) সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার যে নির্দেশ জারি হয়েছিল সেটি বর্তমানে প্রত্যাহার করে নিল। সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে নতুন আদেশ জারি করা হয়েছে, নয়া নির্দেশ অনুসারে, রাজ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথভাবে চালিয়ে যেতে পারবে। বিচারপতি হিমা কোহলি, বিচারপতি আসানুদ্দিন আমানুল্লাহের বেঞ্চ প্যানেল প্রকাশের ক্ষেত্রে যে স্থগিত আদেশ দিয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নিল। উক্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) যে নির্দেশ দিয়েছিলেন তাকেই মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট।
(২/৭) প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ১২০০০ শিক্ষক নিয়োগ (West Bengal Primary Teacher Recruitment) সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। পূর্বের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, যারা ডিএলএড (D EL ED) কোর্সে প্রশিক্ষণরত আছেন, তারাও এই নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবে। প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী (Abhijit Gangopadhyay) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নেন। ২০২২ সালের 29 সেপ্টেম্বর প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক নিয়োগের (WB Teachers Recruitment) জন্য পর্ষদের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
(৩/৭) বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ২০২৩ সালে পর্ষদের তরফ থেকে জারি করা এই বিজ্ঞপ্তিতে যে মান্যতা দেওয়া হয় সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর ২০২০ সালে ২২ ডিসেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে, যার মাধ্যমে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষক শিক্ষণ পর্ষদ (NCTI)-এর নির্দেশ অনুসারে, শিক্ষক হওয়ার জন্য নূন্যতম শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ দুই থাকা আবশ্যক। উক্ত নিয়মাবলীর ভিত্তিতে দুইজন বিচারপতি জানান, যে সমস্ত প্রার্থীরা প্রশিক্ষণরত আছেন তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে গেলে আগে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে।
(৪/৭) সৌমেন পাল-সহ মামলাকারীদের আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় যুক্তি দিয়ে বলেন, ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে ডিএলএড কোর্সে (D.el.ed course) ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের কোর্সটি শুরু হয়েছে ২০২০ সালের জুন মাসে। যেহেতু উক্ত কোর্সটি ২ বছরের তাই যথারীতি সেটি শেষ হবে ২০২২ সালের জুন মাসে। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে যে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশিত হয়েছে তার আগেই ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ফাইনাল সেমিস্টারের পরীক্ষা হয়ে যাবে। ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ডিএলএড (D.el.ed) প্রশিক্ষণের শংসাপত্র পড়ুয়াদের প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন: Bank Holidays in February 2024: ফেব্রুয়ারিতে মোট ১১ দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে, দেখে নিন তালিকা
(৫/৭) ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে, ২০২২ সালের ২১ অক্টোবর পুনরায় আরেকটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেই নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে নতুন শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ-এর ব্যবস্থা করা হবে। সেই ইন্টারভিউতে কেবলমাত্র ডিএলএড উত্তীর্ণ (D.el.ed Pass) প্রার্থীরাই অংশগ্রহণ করতে পারবে। ২ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জারি করা বিজ্ঞপ্তি বাতিল বলে ঘোষণা করে এবং সিঙ্গেল বেঞ্চের তরফ থেকে যে নির্দেশ জারি করা হয়েছিল সেটি প্রত্যাহার করে নেন।
আরও পড়ুন: Policy: খুলে যাবে ভাগ্যের দ্বার! ২৯ টাকা ৪ লক্ষ টাকা হয়ে ফিরবে LIC-এর এই পলিসিতে
(৬/৭) মামলায় উক্ত রায় ঘোষণার পর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দায়ের করা হয় মামলা। বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ ২০২৩ সালের ২৮ জুলাই এই মামলার রায়ে বলেন, আদালতের তরফ থেকে কোন নির্দেশিকা জারি না হওয়া অবধি পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Prathamik Shiksha Parishad) কোন মেধা তালিকা সামনে আনতে পারবে না। এরপর এই মামলার শুনানি গত ২২ জানুয়ারি ২০২৪ সালে হয়। এই দিন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে কতগুলি শূন্য পদ রয়েছে? এবং কতজন সেই পদের জন্য যোগ্য? তার একটি খসড়া প্যানেল আদালতে জামা করার জন্য।
(৭/৭) উক্ত নির্দেশিকা অনুসারে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (WBBPE) পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিক শিক্ষক পদে ১১,৭৬৫ শূন্যপদ রয়েছে এবং রাজ্য শিক্ষা পর্ষদ উক্ত পথগুলিতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করতে চাইছে। সেই অনুসারে সোমবার দিন সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে যে উক্ত নিয়োগে স্থগিত আদেশ দেওয়া হয়েছিল সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। চাকরিপ্রার্থী হেমন্ত বেরা বলেন, সুপ্রিম কোর্টের স্থগিত আদেশের ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল তা শেষ হয়েছে। পর্ষদের তরফ থেকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে কোনরকম বাধা নেই।