এক চার্জেই টানা ৫০ বছর চলবে স্মার্টফোন! আসছে এই ব্যাটারি
(১/১৪) পারমাণবিক বোমা হল এমন একটি শক্তিশালী অস্ত্র যার সাহায্যে গোটা পৃথিবীর মানবজাতিকে ধ্বংস করা সম্ভব। পারমাণবিক বোমার শক্তি সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী অবগত।
(২/১৪) বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির যুগে পারমাণবিক শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ এক নিমেষে কঠিন কাজগুলিকে সহজ থেকে সহজতর করে তুলেছে। পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, কৃষি ক্ষেত্রে মানব জাতি পৌঁছে গিয়েছে উন্নতির চরম পর্যায়ে।
(৩/১৪) ইতিমধ্যে পারমাণবিক শক্তির সাহায্যে চীনের বিজ্ঞানীরা অবিনশ্বর কয়েনের চেয়েও ছোট ব্যাটারি তৈরি করেছেন। যেটি বহু বছর যাবত বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ‘প্রাণভোমরা’ হিসাবে গণ্য হবে।
(৪/১৪) বিশেষজ্ঞদের মত অনুসারে, ছোট্ট এই ব্যাটারীটির চার্জের সঙ্গে দেখাশোনার প্রয়োজন নেই বললেই চলে। তাঁদের দাবি, এই ব্যাটারিটি ৫০ বছর অবধি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে।
(৫/১৪) চীনা প্রতিষ্ঠান বেটাভোল্ট টেকনোলজি এই উন্নত প্রযুক্তিটি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে। তথ্যগত প্রযুক্তির দিক দিয়ে বিবেচনা করলে এটি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। উক্ত ব্যাটারির সাহায্যে ফোন এবং ড্রোনের মত বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ওপর যাচাই করার পরই বাজারে উপলব্ধ থাকবে এই ব্যাটারিটি।
(৬/১৪) ব্যাটারিটি উৎপাদনের পিছনে বৃহৎ উদ্দেশ্য হলো যাতে এই ব্যাটারিটি মহাকাশ গবেষণায় ব্যবহৃত যন্ত্র, এআই (AI), চিকিৎসা সরঞ্জাম, উন্নত সেন্সর থেকে ছোট ড্রোন এবং রোবটের মতো প্রযুক্তিতে ব্যাবহার করা যায়।
(৭/১৪) পারমাণবিক শক্তি দ্বারা প্রস্তুত এই ব্যাটারির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা মাত্র ১৫ মিলিমিটার। এই ব্যাটারীটি প্রস্তুত করা হয়েছে পারমাণবিক আইসোটোপ এবং হিরের মত পাতলা আস্তরণ নিয়ে। অবিনশ্বর কয়েনের থেকেও ক্ষুদ্র এই ব্যাটারীতে ৬৩ টি আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়েছে।
(৮/১৪) উক্ত এই ক্ষুদ্র পারমাণবিক ব্যাটারি থেকে যে তেজস্ক্রিয় বিকরণক্রিয়া ঘটবে তাতে মানব দেহের কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। পেসমেকার-এর মত চিকিৎসাও এই যন্ত্রের ব্যবহার সম্ভব। ব্যাটারিটি সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব অর্থাৎ এটি দ্বারা পরিবেশের কোন ক্ষতি হবে না।
(৯/১৪) বর্তমানে উক্ত ব্যাটরিটির ১০০ মাইক্রোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন। তবে ২০২৫ সালে এই ব্যাটারির ক্ষমতা ১ ওয়াট অবধি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। উক্ত ব্যাটারিতে এমন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে যেটির মাধ্যমে আইসোটোপের শক্তির সাহায্যে বিদ্যুৎশক্তি উৎপাদন করা যাবে।
(১০/১৪) কনকনে ঠান্ডা হোক কিংবা প্রচন্ড গরম কোন কিছুই ব্যাটারিটির কার্যক্ষমতাকে প্রভাবিত করবেনা। -৬০ ডিগ্রি (-৬০°c) সেলসিয়াস নীচে থেকে ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও ব্যাটারিটি কাজ সঠিক ভাবে কাজ করতে সক্ষম।
(১১/১৪) বেটাভোল্টের ব্যাটারিটি দামে যেমন কম তেমনই আকারে বেশ ছোট। এই ব্যাটারি থেকে তেমন তাপ উৎপন্ন হয় না। উক্ত ব্যাটারিটি আকারে ছোট হওয়ায় আপনি একই সাথে একাধিক ব্যাটারি ব্যবহার করতে পারবেন। যার ফলে আপনি অধিক শক্তি উৎপন্ন করতে পারবেন।
(১২/১৪) উক্ত ব্যাপারটি প্রস্তুত করতে শক্তির উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে তেজস্ক্রিয় উপকরণ নিকেল-৬৩। শক্তি রূপান্তরের জন্য উক্ত ব্যাটারিতে ব্যবহৃত হয়েছে হীরার সেমিকন্ডাক্টর। সেমিকন্ডাক্টরটির পুরুত্ব মাত্র ১০ মাইক্রন এবং নিকেল-৬৩-এর শীটটি মাত্র ২ মাইক্রন পুরুত্ব যুক্ত। তেজস্ক্রিয় নিকেল-৬৩ ক্ষয় হওয়ার ফলে যে শক্তি উৎপন্ন হয় সেটি শক্তি বৈদ্যুতিক প্রবাহে রূপান্তরিত হয়।
(১৩/১৪) ব্যাটারিটি বিনা চার্জিং এবং রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই ৫০ বছর অবধি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। পারমাণবিক ব্যাটারির সাহায্যে ফোন একবার চার্জ করলে ৫০ বছর অবধি সেই চার্জ চলবে।
(১৪/১৪) নতুন এই প্রযুক্তির ফলে চার্জার অথবা পাওয়ারব্যাংকের কোন প্রয়োজন হবে না। এটি ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিতে একটি আমূল পরিবর্তন আনতে চলছে। লিথিয়াম ব্যাটারির মতো এটি ক্ষয়যোগ্য নয়।