১ লক্ষ টাকা দিচ্ছে SBI, ৫ মিনিটেই ঢুকবে অ্যাকাউন্টে! আবেদন পদ্ধতি জেনে নিন
এমন অনেকেই রয়েছেন যারা ভালো একটি ব্যবসা করে স্বনির্ভর হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তবে কি রকম ব্যবসা করলে লাভজনক হবেন তা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। বা ব্যবসা করলেও প্রয়োজনীয় মূলধন কোথা থেকে পাবেন তা নির্ধারণ করতে পারছেন না। আপনার ক্ষেত্রে যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে আর চিন্তা নেই কারণ আমরা এই প্রতিবেদনে এর দারুন একটি সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছি।
দেশের বৃহত্তম ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (State Bank of India) তরফ থেকে দারুন একটি সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাত্র তিন মিনিটে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করছে এই ব্যাংক। SBI-র যেকোনও শাখায় না গিয়ে শুধুমাত্র বাড়িতে বসে আপনি এই ই-কারেন্সি লোন পেয়ে যাবেন। এর জন্য কোন ডকুমেন্টস বা নথিপত্রও লাগবেনা।
তাহলে কীভাবে পাবেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ই মুদ্রা লোন (e-Mudra)। চলুন এর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কীভাবে ঋণের জন্য আবেদন করবেন?
ঋণ নেওয়ার জন্য স্টেট ব্যাংকের তরফ থেকে আপনাকে যে শর্ত গুলো মেনে চলতে হবে সেগুলো নিম্নরূপ-
আরও পড়ুন: Aadhaar Card: আধার কার্ডে এই ভুলগুলি কখনোই করবেন না, নইলে বিপদে পড়বেন!
১) দেশের বৃহত্তম ব্যাংক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার থেকে আপনি যদি এই ঋণের সুবিধাটি পেতে চান তাহলে তার জন্য আপনার স্টেট ব্যাঙ্কে সেভিংস অথবা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট থাকা জরুরি।
২) শুধু তাই নয় আপনার এই একাউন্টের সঙ্গে অবশ্যই আধার নম্বর লিঙ্কও থাকবে।
৩) আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মেয়াদ ৬ মাস বা তার বেশি হবে।
৪) এই দিনের মেয়াদ ৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে অর্থাৎ আপনি যদি ছোটখাটো ব্যবসা করার জন্য এই ঋণ গ্রহণ করেন তাহলে পাঁচ বছরের মধ্যে আপনাকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। তবে মুদ্রা লোনের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ভর্তুকি দেয়।
আরও পড়ুন: SBI থেকে ৩০ বছর মেয়াদে ৬০ লাখ টাকা হোম লোন নেবেন? কত EMI দিতে হবে? জানুন
কত টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে?
আপনি যদি স্টেট ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্ট বা কারেন্ট অ্যাকাউন্ট হোল্ডার হয়ে থাকেন তবে ব্যাংকের তরফ থেকে আপনাকে ই-কারেন্সি লোন হিসেবে তাৎক্ষনিক ৫০ হাজার টাকা দেবে।
কীভাবে পাবেন এই ঋণ?
স্টেট ব্যাংকের ই-কারেন্সি ঋণ পেতে গেলে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
কী কী নথি লাগবে?
স্টেট ব্যাংকের ই-কারেন্সি ঋণের জন্য যেসব নথি পত্রগুলি লাগবে সেগুলো হলো নিম্নরূপ-
- সেভিংস অ্যাকাউন্টের নম্বরসহ ব্যাংকের শাখার বিশদ বিবরণ।
- আপনি যে ব্যবসার জন্য ঋণ নিতে চান তার সার্টিফিকেট।
- দোকান বা ইউনিটের সার্টিফিকেট।
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার নম্বর আপডেট থাকতে হবে।
- জিএসটিএন নম্বর এবং ইন্ডাস্ট্রি আধার নম্বর।
- সাধারণ / এসসি / এসটি / ওবিসি / সংখ্যালঘু সার্টিফিকেট (যদি থাকে)।