Big News: WB SSC-এর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ ও নতুন নিয়ম নিয়ে বড় খবর সামনে এলো
WB SSC: রাজ্যের একাধিক স্কুলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের পরিবর্তে MCQ প্রশ্ন নেওয়া হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন (West Bengal School Service Commission) রাজ্য শিক্ষা দপ্তরকে (West Bengal Education Department) এমনই পরামর্শ দিয়েছে।
কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে প্রার্থীদের ৯০ মার্কসের যে mcq পরীক্ষা নেওয়া হবে তার ওএমআর সিটের কপি নির্বাচিত পরীক্ষার পরে প্রার্থীদের দেওয়া হবে।
কমিশনের তরফ থেকে নতুন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার অন্যতম কারণ হলো বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের ক্ষেত্রে আইন চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনা রয়েছে কারণ সেই ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীরা মূল্যায়ন সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে আদালতে মামলা করতে পারে যা MCQ টাইপ প্রশ্নের ক্ষেত্রে নেই।
কমিশনের এরূপ সিদ্ধান্তে এক আধিকারিক জানিয়েছেন যে, “MCQ-এর সুবিধা হল যে পরীক্ষার পর প্রার্থীদের কাছে OMR শীট মাসে হস্তান্তর করা হলে, মডেল উত্তর আপলোড করার পরপরই তারা নিজেরাই পরীক্ষা করে দেখতে পারে যে তারা কত নম্বর পাবেন। এতে অপ্রয়োজনীয় আইনি চ্যালেঞ্জ কমবে। ফলাফল প্রকাশের আগে মডেল উত্তর আপলোড করা হয়। তাছাড়া ৩০০ নম্বরের বিষয়ভিত্তিক প্রশ্নের পরীক্ষা হলে প্রার্থীদের অনুলিপি দেওয়া কঠিন হবে পৃষ্ঠার সংখ্যার কারণে।”
এছাড়াও এসএসসি কোর্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে ওএমআর শীটে পরীক্ষা নিলে ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করা যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এসএসসি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে রাজ্যের একাধিক জায়গায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীদের বাছাই করার জন্য রাজস্থানের নির্বাচনী পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
আবার প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের জন্য টিচার্স এলিজিবিলিটি টেস্ট বা TET পরীক্ষা নেওয়া হয়। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়। এই সম্পর্কে একজন SSC আধিকারিক জানিয়েছেন, “দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা TET পদ্ধতিতে পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করছি।”
শিক্ষক নিয়োগের জন্য একাধিকবার পরীক্ষা নেওয়া হল বিগত কয়েক বছরে কোন শুন্যপদেই সেরকম ভাবে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি এর অন্যতম কারণ হলো আদালতে একাধিক মামলা। সেই সংক্রান্ত বিষয়ে মাথায় রেখেই এইবার পরীক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন👉: ১০,০০০ টাকা করে প্রতি মাসে পাবেন, কেন্দ্র সরকারের এই স্কিম সম্পর্কে জেনে নিন
এই প্রসঙ্গে এস এস সি এক কর্মকর্তা জানান যে, “আমরা অস্বীকার করতে পারি না যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অনিয়মের অভিযোগের পরে এসএসসি এবং প্রাথমিক বোর্ডের মত পরীক্ষা পরিচালনাকারী সংস্থাগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস পেয়েছে। বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধার করার সর্বোত্তম উপায় হল ও এম আর ভিত্তিক মূল্যায়ন করা এবং পরীক্ষার্থীদের উত্তর স্ক্রিপ্টের অনুলিপি দেওয়া।”
২০২২ এবং ২০২৩ সালে ডিসেম্বর মাসে চাকরিপ্রার্থীদের যে টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল তার উত্তর স্ক্রিপ্ট এর অনুলিপি ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই অনুলিপি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে পরীক্ষার সংক্রান্ত এই বিষয়ে এস এস সি চেয়ারপারসন কোনো রকম মন্তব্য করতে নারাজ। তবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (West Bengal School Service Commission) নতুন এই সিদ্ধান্তে আশা করি ঝামেলা আগের চেয়ে অনেকটাই কমে যাবে।
গুরুত্বপূর্ণ লিংক
আরও পড়ুন👉: UPI Transactions: বদলে গেলো UPI লেনদেনের নিয়ম! এই নিয়ম চালু করলো সরকার