Big News: মে মাসের এই দিন থেকে শুরু হবে কালবৈশাখী!
সমগ্র দক্ষিণ বঙ্গ এখন প্রবল গরমের কবলে। বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তারপরে আবার লু এর দাপটে দুপুরবেলা বাড়ি থেকে বের হওয়া দায়। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে, বিশেষত বৃদ্ধ ও শিশুদের তো একেবারেই নয়।
গত রবিবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছে ৪১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে এই নিয়ে চতুর্থ সপ্তাহ তাপ প্রবাহের সময়কাল চলছে। এই বছরে যা রেকর্ড।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে এই তাপমাত্রার পরিবর্তন আপাতত হবে না। একই রকম অবস্থা আগামী ৭ মে পর্যন্ত জারি থাকবে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বঙ্গোপসাগরের জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস দক্ষিণবঙ্গে ঢুকলেও তা অত্যন্ত দুর্বল থাকায় বৃষ্টি হচ্ছে না।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর আগামী ৭ মে তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির কোনরকম সম্ভাবনা নেই। আগামী ৫ দিনের মধ্যে তাপমাত্রার কোন পরিবর্তনও ঘটবে না। অর্থাৎ তাপমাত্রা বাড়বেও না আবার কমবেও না, একই রকম বজায় থাকবে।
আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে তীব্র তাপ প্রবাহের লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে দুই বর্ধমান, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়া জেলায়। এগুলো ছাড়া পশ্চিমাঞ্চলের বাকি জেলাগুলিতে তার প্রবাহের কমলা সর্তকতা জারি রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতেও প্রবল তাপমাত্রা বজায় থাকবে।
আগামী ৫ দিন পর্যন্ত সবকটি জেলায় তীব্র তাপ প্রবাহের কমলা সতর্কতা জারি থাকছে। উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলায় আগামী পাঁচ দিন তারপরেও চলবে তাপমাত্রা। এর সঙ্গে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের তাপপ্রবাহের মতো অস্বস্তিকর আবহাওয়া বজায় থাকলেও সেখানে তাপমাত্রা অন্যান্য জেলার তুলনায় কম রয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৫ মে তারিখ থেকে। এই সময়ের মধ্যে লু এর দাপট ধীরে ধীরে কমবে ও প্রচুর জলীয় বাষ্প বঙ্গোপসাগর হয়ে রাজ্যগুলিতে ঢুকবে। উত্তর গোলার্ধে যে অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে তা ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে দক্ষিণ দিকে ধেয়ে আসবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল রয়েছে।
আগামী ৩০ এপ্রিল যে জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে সেগুলি হল উত্তরের কালিম্পং, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি জেলায়। এরপরে ১ জুন তারিখে এই তিন জেলার সঙ্গে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ ও দমকা হওয়ার সঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে আগে জানানো হয়েছিল যে এই বছর তাপমাত্রার পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি হবে। আর বর্তমানে সেটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এপ্রিল মাসে মোট তিনবার তা প্রবাহ ছিল।
২০০৯ সালে এপ্রিল মাসে দুইবার প্রবাল তাপ প্রবাহ চলেছিল আর এর পরবর্তীতে হঠাৎ চলতি বছর এপ্রিল মাসের তাপমাত্রা রেকর্ড ভেঙ্গে দিল। এই বছর এপ্রিল মাসের যে তাপমাত্রা বিগত ৯ দিন ধরে চলছে তা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে আর কখনো আসেনি।