হাজার হাজার টাকা প্রতি দিন আয় হবে এই কাজ করে, কী ভাবে করবেন জেনে নিন?
(১/৭) Business Ideas in Bengali: বর্তমানে কম বেশি প্রায় সকলের বাড়িতেই রয়েছে কম্পিউটার (Computer) বা ল্যাপটপ (Laptop)। এই উন্নত টেকনোলজির যুগে মোবাইল, ল্যাপটপের বাজার চাহিদা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঠিক তেমনই এই ডিভাইস গুলি রিপেয়ার করার জন্য প্রয়োজন একজন দক্ষ মানুষের। তবে এই সময় অনেক স্থানেই রয়েছে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ডিভাইস রিপেয়ারিং-এর দোকান।
(২/৭) তবে তবে সর্বত্র রয়েছে এমন নয়। বহু স্থানে একমাত্র বড়ো বাজার বা জায়গায় রয়েছে রিপেয়ারিং স্টোর (Repairing Store)। তাই ক্রমবর্ধমান চাহিদার হিসাবে ইলেকট্রনিক ডিভাইস অর্থাৎ মোবাইল (Mobile), ল্যাপটপ (Laptop), কম্পিউটার (Computer) রিপেয়ার করা একটি বড় ব্যবসায়িক সুযোগ হতে পারে আপনার কাছে।
(৩/৭) কম্পিউটার রিপেয়ারিং স্টোরে কম্পিউটারের সফটওয়্যার (Computer Software) থেকে হার্ডওয়ারের (Hardware) সকল কাজই হয়ে থেকে। সেজন্য কম্পিউটার বা ল্যাপটপ রিপেয়ারিং-এর দোকান খোলার আগে কম্পিউটার সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানা আবশ্যক। প্রয়োজনে আপনি রিপেয়ারিং-এর কাজ জানতে বিভিন্ন কোর্স করতে পারেন। সহজেই আপনি ৬ মাসের একটি কোর্সের মাধ্যমে উক্ত বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। আপনি যদি চান তবে একজন প্রশিক্ষিত কর্মী রেখেও কাজ করাতে পারেন।
শেখার সহজ উপায় রয়েছে?
(৪/৭) বর্তমানে ইউটিউবের (YouTube) দ্বারা ইন্টারনেট (Internet) এবং ফোনের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এই বিষয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে পারেন। অনলাইন মাধ্যমে উপলব্ধ বিভিন্ন রিপেয়ারিং ট্রেনিং কোর্সও নিতে পারেন। আপনি CNet.com এবং ZDN.com ওয়েবসাইট থেকেও এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে পারেন।
আরও পড়ুন: আবহাওয়ার বিরাট বদল! সরস্বতী পুজোয় এই ৮ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা!
দোকান কোথায় খোলা হবে?
(৫/৭) কম্পিউটার রিপেয়ারিং স্টোর সর্বদা এমন স্থানে খোলা উচিত যেখানে মানুষজন সচরাচর যেতে পারবেন। এবং এর সাথে এটিও লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ওই এলাকায় অনেক বেশি কম্পিউটার রিপেয়ারিং স্টোর না থাকে। কম্পিউটার রিপেয়ারিং স্টোর খোলার জন্য বাজার এলাকা বা স্টেশন রোড বা বাস স্টপ এলাকা খুব উপযুক্ত ভালো স্থান বিবেচিত হবে।
আরও পড়ুন: Jio-র এই প্ল্যানে ফ্রিতে পেয়ে যাবেন 14 টি OTT সাবস্ক্রিপশন!
(৬/৭) কম্পিউটার রিপেয়ারিং স্টোর খোলার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বা সামগ্রী রাখা আবশ্যক। যাতে কোনো গ্রাহক এসে ফিরে না যায়। প্রথম অবস্থায় কিছু প্রাথমিক টুল রাখা দরকার। যেমন ধরুন- মাদার বোর্ড (Motherboard) , সিপিইউ (Processor), র্যাম (Memory), হার্ড ড্রাইভ (IDE , SAS), ভিডিও কার্ড (Video Card), সাউন্ড কার্ড (Sound Card)এবং নেটওয়ার্ক কার্ড (Network Card) প্রভৃতি।
আরও পড়ুন: খুব শীঘ্রই ৫০ হাজার শুন্য পদে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের ইন্টারভিউ নোটিশ প্রকাশ! পরবর্তী TET কবে হবে?
আয় কত হবে?
(৭/৭) একটি কম্পিউটার রিপেয়ারিং স্টোর খুলতে প্রাথমিকভাবে আপনার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন হবে। ওই অর্থ দিয়ে আপনাকে প্রয়োজনীয় কম্পিউটার সামগ্রী, অন্যান্য জিনিসপত্র এবং আসবাবপত্র কিনতে হবে। যদি ঠিকঠাক ভাবে ব্যবসা হয় তবে আপনি প্রত্যাহ ৩০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।