CAA Rules: CAA কীভাবে কার্যকর হবে? নাগরিকত্ব পেতে যে বিষয় জানা জরুরি
লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে গত ১১ মার্চ রাতে সারা দেশব্যাপী কার্যকর হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA)। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সরকার ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের পর সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের বিল পাশ করান। তবে করো না কালীন পরিস্থিতির জন্য সে সময় কার্যকর করা হয়নি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government Of India) তরফ থেকে তাই এবার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) কার্যকর করা হয়। এই আইনের ফলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, থেকে আসা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন- হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা পাবে নাগরিকত্ব। কিভাবে পাবেন? কারা পাবেন? জানান বিস্তারিত।
এই আইনে নাগরিকত্ব পাবেন কারা?
২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখের আগে ভারতে যে সমস্ত শরণার্থীরা এসেছেন বা স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তাদের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে এই আইনের মাধ্যমে। এর জন্য তাদের ভিসা বা ইমিগ্রেশন স্ট্যাম্প দিতে হবে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, থেকে আসা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন- হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।
CAA প্রক্রিয়া কার্যকর হবে কিভাবে?
https:/indiancitizenshiponline.nic.in-এর মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। উক্ত আবেদনপত্রটি প্রথমে পাঠানো হবে জেলা কমিটির কাছে। তারপর সেখান থেকে পাঠানো হবে এমপাওয়ার্ড কমিটির কাছে। উক্ত ব্যক্তি নাগরিকত্ব পাবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ওই কমিটি।
আরও পড়ুন👉: Money Making Tips: আপনার ভাগ্য বদলে যাবে বাড়িতেই এই কাজ শুরু করে
এমপাওয়ার্ড কমিটির প্রধানকে বলা হবে সেন্সাস প্রক্রিয়ার ডিরেক্টর। তিনি ছাড়াও কমিটিতে থাকবে আরো ৭ জন সদস্য। আইবিআই, ফরেন, রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস, পোস্ট অফিস, স্টেট ইনফরমেশন অফিসার থাকবেন কমিটিতে।
আরও পড়ুন👉: কলকাতা পুলিশের অধীনে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ চলছে, রইলো সরাসরি আবেদনের লিংক
নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন?
ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন ফর্ম তফসিল ১এ-এর অধীনে ৯টি নথি প্রমাণ হিসেবে দিতে হবে। তফসিল ১বি-এর অধীনে ২০টি নথি প্রমাণ হিসাবে দিতে হবে এবং তফসিল ১সি-এর অধীনে হলফনামা প্রমাণস্বরূপ দিতে হবে। আবেদনপত্রে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে তারা উপরে উল্লেখিত তিন দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্বাস্তু। তাই সেজন্য পাসপোর্ট, জন্মের শংসাপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড, জমির নথি, বিদ্যুতের বিল, বিয়ের শংসাপত্রের মতো প্রমাণপত্র দিতে হবে।
যদি কোনো নথি না থেকে সেক্ষেত্রে কি হবে?
সমস্ত নথি যদি না থাকে তবুও হবে। কিন্তু কোনো আবেদনকারির যদি কোনো নথি না থাকে সেক্ষেত্রে নথি না থাকার সঠিক কারণ দেখাতে হবে। যে রাজ্যে তিনি বাস করছেন সেখানে থাকার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন👉:Aadhaar Card: বড় ঘোষণা আধার কার্ড নিয়ে! বিপদে পড়ার আগে জেনে নিন
কি কি ফর্ম পূরণ করতে হবে?
অনলাইনে আবেদন পত্রে বাবা, মা, স্বামীর নাম, দিতে হবে। কোথা থেকে এসেছেন কত দিন ধরে এদেশে বাস করছেন সে তথ্য দিতে হবে। পাশাপাশি আপনি কোন সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত সেটিও জানাতে হবে।
বিবাহিত-অবিবাহিতদের জন্য কি একই ফর্ম?
অবশ্যই সকলের জন্য আলাদা ফর্ম। ভারতে আসার পর যদি বিবাহিত হন তবে ফর্ম পূরণের সময় সেই তথ্য দিতে হবে। বাচ্চাদের জন্যও রয়েছে অন্য ফর্ম।
আরও পড়ুন👉: Isha Ambani: মুকেশ অম্বানীর মেয়ে ইশার আম্বানীর বেতন জানলে আকাশ থেকে পড়বেন!
কারোর নাগরিকত্ব কি কেড়ে নেওয়া হবে?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন এই আইনের দ্বারা কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না।
পুলিশের তালিকায় নাম আছে কিনা?
নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তির পুলিশের অভিযোগের তালিকায় নাম আছে কিনা এবং তার ক্রিমিনাল রেকর্ড যাচাই করে দেখা হবে। যাচাই করার পর যদি কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে, নাগরিকত্ব দেওয়া উপযুক্ত হবে না তবে সেক্ষেত্রে আবেদন পত্রটি বাতিল করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: Jobs in India: সুখবর! দেশে প্রচুর চাকরি হবে আগামী ৩ মাসে, কোন কোন জায়াগায়? জেনে নিন
কিভাবে পাবেন নাগরিকত্বের শংসাপত্র?
সমস্ত তথ্য দিয়ে ফর্মটি পূরনের পর সেটি জমা করতে হবে। তারপর আবেদন পত্রটি যাচাই করা হবে। কোন ভ্রান্ত বা মিথ্যা তথ্য দিলে আবেদন পত্রটি বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে। যাচাই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবার পর আবেদনকারীকে ডিজিটাল নাগরিকত্বের শংসাপত্র প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন👉: HDFC ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ লক্ষ টাকার হোম লোন নিলে কত EMI দিতে হবে? হিসেব দেখে নিন