Telegram Income Tips: টেলিগ্রাম থেকে বাড়ি বসেই ইনকাম করুন! রইলো সহজ পদ্ধতি
How to Make Money from Telegram: বর্তমানে একটি অতি প্রচলিত অ্যাপ (App) হলো টেলিগ্রাম (Telegram)। সোশ্যাল মিডিয়া (Social media) ব্যবহারকারী অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন এই অ্যাপটিকে। তবে এই অ্যাপটির ব্যবহার করে সামান্য পরিমাণে হলেও টাকা উপার্জন করা যায়। তবে টেলিগ্রাম কোম্পানি এখন ব্যবহারকারীদের জন্য নিয়ে এসেছেন অর্থ উপার্জনের একটি বড় সুযোগ। টেলিগ্রাম সিইও বলেন, টেলিগ্রাম চ্যানেলের মালিকরা বর্তমানে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এই টেলিগ্রাম (Telegram) অ্যাপটি ব্যবহার করে।
এই অ্যাপ থেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর (Content Creator) ছাড়াও সাধারণ মানুষেরাও পেয়ে যাবেন অনেক সুযোগ। তার বক্তব্য অনুসারে, টেলিগ্রামে চ্যাট (Chat) ছাড়াও গ্রুপ (Group) ও চ্যানেলেও (Channel) থাকছে বিভিন্ন ব্যবস্থা। মেসেজিং এই অ্যাপটি এখন আর কেবল মেসেজিং অ্যাপ (Messaging App) নয়, হয়ে উঠছে একটি সোর্স প্লাটফর্ম যা হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)-এর মতো অ্যাপ কেউ ছাপিয়ে যাচ্ছে।
বেশ কিছুদিন যদি কেউ এই প্লাটফর্মে (Platform) সময় দিতে পারেন তাহলে এই প্লাটফর্ম থেকে তিনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। চাইলেই তিনি মাসে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন নিজের মোবাইল ফোনে থাকা এই অ্যাপটির মাধ্যমে। এর জন্য আপনাকে আপনার চ্যানেল অথবা গ্রুপের জন্য একটি আকর্ষণীয় নাম বেছে নিতে হবে।
এছাড়াও চ্যানেল লোগো (Channel Logo) এবং ডেসক্রিপশনকেও (Description) হতে হবে আকর্ষণীয়। এর পাশাপাশি আপনাকে নিয়মিত কনটেন্ট (Content) পোস্ট করতে হবে যাতে আপনার ফলোয়ার সংখ্যা বাড়ে। নিয়মিত শেয়ার গিভওয়ে এবং আকর্ষণীয় কনটেন্টের মাধ্যমে গ্রুপের মেম্বারকে ধরে রাখতে হবে।
আপনার গ্রুপ বা চ্যানেলকে আয়ের উৎস হিসেবে তৈরি করতে গেলে আপনাকে এই কাজগুলো করতেই হবে। ফ্রিল্যান্সাররা (Freelance) যে পদ্ধতিগুলি থেকে আর করেন সেই পদ্ধতির মধ্যে কিছু সহজ পদ্ধতি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন (Affiliate Marketing)
আমরা প্রায় সবাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) সম্পর্কে জানি। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বোঝায় অন্য কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট অন্য কারোর মাধ্যমে বিক্রি হওয়া।
কোন ব্যক্তি কোন একটি প্রোডাক্ট-এর লিংক তার গ্রুপে বা চ্যানেলে পোস্ট করলেন পরে সেই গ্রুপের কোন মেম্বার যদি ওই লিংকের মাধ্যমে ওই প্রোডাক্টটি কিনে নেন তাহলে ওই গ্রুপের মালিক মুনাফার একটা অংশ সংস্থার তরফ থেকে পান।
এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)-এর জন্য কোন চ্যানেল মালিককে কোনো প্রকার বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হয় না। এই মার্কেটিং করতে আপনি যেকোনো তিনটি জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট (E-Comers) যেমন- Amazon,Flipkart প্রভৃতি ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সংক্রান্ত তথ্য জানতে ‘বিকাম এফিলিয়েট’ (Become Affiliate) অপশনে গেলে পেয়ে যাবেন। লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য আপনাকে তেমন কিছুই করতে হবে না শুধুমাত্র আপনাকে আপনার গ্রুপে একটি লিঙ্ক প্রদান করলেই চলবে এবং তার মাধ্যমে আপনার গ্রুপ মেম্বাররা কোন একটি প্রোডাক্ট কিনলেই আপনি পাবেন অর্থ।
পেইড প্রমোশন করে উপার্জন(Money Earning From Paid Promotion):
যদি হাজার হাজার ফলোয়ার থাকে তাহলে অন্যান্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মত টেলিগ্রামেও এই প্রোমোশনের কাজ আপনি করতে পারবেন। এজন্য সর্বদা অ্যাকটিভ থাকতে হয় চ্যানেল মালিককে এবং তার সাথে অ্যাকটিভ রাখতে হয় নিজের চ্যানেলকেও। যে চ্যানেল বিভিন্ন কনটেন্ট দ্বারা পরিপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঠিক সেই রকম চ্যানেলেই তাদের বিজ্ঞাপন করাতে চায়। আর সেখান থেকে অর্থ উপার্জনের একটি রাস্তা খুলে যায় চ্যানেল মালিকের কাছে।
রেফারেলের মাধ্যমে ইনকাম (Referral Income):
বর্তমানে অনলাইনে টাকা আয় করার আরেকটি অভিনব পদ্ধতি হলো অ্যাপকে রেফার করা। যদি কোন গ্রুপের মেম্বার কমপক্ষে ৫ হাজার হয় সেই গ্রুপে লিংক প্রদান করা হলে সদস্যরা সেই অ্যাপের সুযোগ নেয় এবং সার্ভিস গ্রহণ করে ফলে লাভের টাকা রেফারেল অ্যাকাউন্টে চলে আসে।
চ্যানেল অ্যাড বিক্রির দ্বারা উপার্জন:
বর্তমানে অন্য চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। কোন চ্যানেলের মেম্বার বাড়ানোর জন্য সেই চ্যানেল অন্য চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এইজন্য চ্যানেলের মালিককে যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করতে হয়।
পেইড সাবস্ক্রিপশনের দ্বারা আয় (Money Earning From Paid Subscription):
মাঝে মাঝে কনটেন্ট ক্রিকেটাররা তাদের চ্যানেলে এমন কিছু প্রেমিয়াম কনটেন্ট পোস্ট করেন যা দেখার জন্য ফলোয়ারকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করতে হয়। বর্তমানে শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং বিনোদনের কনটেন্ট ক্রিয়েটাররা ভালো কনটেন্ট-এর জন্য সাবস্ক্রিপশন বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করার চেষ্টা করছে।
প্রোডাক্ট বিক্রি (Reselling Product)
বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করে চ্যানেলের মালিকরা তাদের প্রোডাক্ট নিজের চ্যানেলে বিক্রি করতে পারেন। শর্তসাপেক্ষে সেই কোম্পানির সেই মালিকটিকে তাদের পণ্য বিক্রির করার অনুমতি প্রদান করে থাকে। এরপরে সেই পণ্যটির লভ্যাংশ উভয় পক্ষই ভোগ করে থাকেন।
ইউআরএল শর্টনার (URL Short Nar) প্রায়শই আমরা কোন ভিডিও দেখতে দেখতে বিজ্ঞাপনের সম্মুখীন হই। এর ফলে ভিডিও পোস্ট দাতাকে বিজ্ঞাপন কোম্পানি থেকে অর্থ প্রদান করা হয়। ইউআরএল শর্টনার হল এইরকমই একটি পদ্ধতি। কোন একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের লিংক শর্ট করে নিয়ে এসে এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। এর জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে ব্যবহার করা হয়। এর জন্য ওয়েবসাইট থেকে লিংকটিকে ছোট করে কনটেন্টের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় যাতে করে লিংকটি ক্লিক করলে বিজ্ঞাপনটি সামনে চলে আসে। এর মাধ্যমে উপার্জন করে থাকেন একজন কনটেন্ট ক্রিকেটার।