Money Making Tips: এই নিয়মগুলো মেনে চললে জীবনে কখনও টাকার কমতি হবে না!

আমাদের WhatsApp Group-এ যুক্ত হন👉 Join Now

(১/৮) কম বেশি একাধিক মানুষ ভগবানের কাছে প্রার্থনা করেন, তাঁকে যেন কারো কাছে হাত পাততে না হয়। সেজন্যই প্রয়োজন যথেষ্ট সঞ্চয় এবং সঠিক খাতে বিনিয়োগ। কখনও অসময়ে টাকার প্রয়োজন হলে যাতে সেই প্রয়োজন মেটাতে পারেন এবং কারোর কাছে হাত পাততে না হয়। তোর স্বাভাবিকভাবেই এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে নিজের উপার্জনের কত টাকা সঞ্চয় করলে নিজের প্রয়োজন মেটানো সম্ভব। তবে এরজন্য প্রথমে আপনার উপার্জনকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করতে হবে।

এমার্জেন্সি ফান্ড (Emergency Fund):

(২/৮) প্রথমেই আপনার ৬ মাস থেকে ১২ মাসের খরচ বাবদ অর্থ সর্বদা সঞ্চিত রাখা করা উচিত। যাতে ভবিষ্যতে চাকরি হারালেও আপনার জীবনে চলার পথে কোন অসুবিধা না হয়। তবে আপনার যদি কোন EMI থাকে তবে এমার্জেন্সি ফান্ডে (Emergency Fund) সেই অর্থও হিসাবে যোগ করতে হবে। এবার আপনার ১ মাসে যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয় তার হিসাব করে এমার্জেন্সি ফান্ডে অর্থ সঞ্চয় করুন।

টার্ম ইনস্যুরেন্স (Term Insurance):

(৩/৭) শুনতে কঠিন হলেও এটাই সত্যি। আপনি যদি হঠাৎ মারা যান তবে আপনার পরিবারের কি হবে? পরিবারের মানুষদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই প্রত্যেকটি মানুষের টার্ম ইনস্যুরেন্স (Term Insurance) করানো উচিত। আপনার বয়স যদি কম হয় তবে আপনি ১ কোটি টাকার টার্ম ইনস্যুরেন্স বার্ষিক ১০,০০০ টাকাও কম অর্থ খরচে করতে পারবেন। এর ফলে আপনার সুরক্ষা নিয়ে আর চিন্তা থাকবে না।

স্বাস্থ্য বিমা (Health Insurance):

(৪/৮) মানুষের শরীরের অসুস্থতা কখনো বলে কয়ে আসে না। আচমকাই যদি আপনার পরিবারের কোনো ব্যক্তি বড় কোন অসুখে আক্রান্ত হয় তবে তার হসপিটাল ফিস হতে পারে লক্ষাধিক। আর একবারে সেই টাকা বার করা সকলের ক্ষেত্রে সম্ভব নাও হতে পারে। তাই সকলেরই হেলথ ইনস্যুরেন্স পলিসি এবং সুপার টপ আপ পলিসি মিলিয়ে ৩০ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য বীমা করানো উচিত। এর জন্য বার্ষিক ১৫ হাজার টাকা এবং মাসিক ভিত্তিতে ১২০০ টাকা দিয়েই আপনি এই বিমা করাতে পারবেন।

আরও পড়ুন: Weather Update: আসছে দুর্যোগ! রাজ্যে ২ দিন ধরে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস! কবে? জেনে নিন

আমাদের WhatsApp Group-এ যুক্ত হন👉 Join Now

(৫/৮) টার্ম ইনস্যুরেন্স এবং স্বাস্থ্য বিমা মিলিয়ে প্রতিমাসে আপনাকে প্রায় খরচ করতে হবে ২,০০০ টাকা। আপনি প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা খরচ করে ভবিষ্যতে অসময়ের দুশ্চিন্তা মুক্ত হতে পারবেন। এবার অবশিষ্ট অংশ আপনাকে সঠিক খাতে বিনিয়োগ করতে হবে।

বিনিয়োগ (Investment):

(৬/৮) বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপনি অনেকের কাছেই অনেক রকম জ্ঞান শুনতে পাবেন। কেউ কেউ আপনাকে বলবে প্রথমে বিনিয়োগ করুন, তারপরে ব্যয় করুন, ব্যয় না করে বিনিয়োগ করুন ইত্যাদি নানা রকম কথা। তাই আপনাকে প্রথমে বিনিয়োগ করার আগে কোন খাতে বিনিয়োগ করবেন সেটি নির্ধারণ করতে হবে। ধরুন আপনি চাকরি পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই আপনার বাবা-মা আপনার উপর বাড়ি কেনার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। বাড়ির ডাউন পেমেন্টও করে দেবেন বলছেন। এবার আপনি যদি এটাকে বিনিয়োগ ভেবে বাড়ি কিনে নেন, তবে আপনার বেতনের ৫০ শতাংশ অর্থ চলে যাবে ঋণ পরিশোধ করতে করতে।

আরও পড়ুন: এই ১০ অভ্যাস ব্যর্থ মানুষের, যা থেকে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে

(৭/৮) তারপর আর ৫০ শতাংশ বেতন দিয়ে আপনি কি যথেষ্ট সঞ্চয় করতে বা বিনিয়োগ করতে পারবেন? আপনার বাড়ি কেনার পাশাপাশি ওই নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে ক্যারিয়ারটি আটকে পড়ছে। যে কারণে আপনি অন্য কোন শহরে গিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন না। আবার আপনি চাকরি ছেড়ে ব্যবসা করার কথা ভাবতে পারবেন না কারণ আপনাকে ঋণের বোঝা পরিশোধ করতে হবে।

সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ:

প্রথমেই আপনার খরচের পরিমাণের উপর লক্ষ্য করুন। তাহলে বুঝবেন আপনাকে কত টাকা সঞ্চয় করতে হবে। এবং বেতনের কত অংশ সঞ্চয় করলে সেটি পূরণ হবে। ধরুন আপনার বেতন মাসিক ৫০ হাজার টাকা। এবার বছর ২ পর যদি আপনার বিএমডব্লিউ না কিনে স্যান্ট্রো কেনায় শ্রেয়। কারণ আপনার পার্সোনাল ফ্রিল্যান্স কেমন সেটি আপনার নিতান্তই ব্যক্তিগত। এবং আপনি বেতনের কত টাকা সঞ্চয় করবেন ৫০ শতাংশ নাকি ৪০ শতাংশ সেটি আপনি ছাড়া অন্য কারোর পক্ষে নির্ধারণ করা অসম্ভব। তাই প্রথমেই নিজের আর্থিক লক্ষ্যের দিকে নজর দিতে হবে।

গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক (Important Link)

WhatsApp Group-এ যুক্ত হন👉যুক্ত হন