৫ বছরেই আপনার টাকা ডবল হয়ে যাবে LIC-র এই পলিসিতে!
LIC Policy: কমবেশি প্রায় প্রত্যেকটি মানুষই চায় কম সময়ে টাকা ডবল করতে। এজন্য কম বেশি সকলেই বিনিয়োগ করেন কম সময় মোটা অংকের অর্থ রিটার্নের আশায়। এক্ষেত্রে শেয়ার মার্কেট আপনার জন্য উপযুক্ত বিনিয়োগ মাধ্যম বলে বিবেচিত হতে পারে। তবে যারা রিস্ক নিয়ে বিনিয়োগ করতে ভয় পান তাদের জন্য শেয়ার মার্কেট উপযুক্ত বিনিয়োগ মাধ্যম নয়।
যারা অর্থ সুরক্ষিত মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে চান ভালো রিটার্নের আশায় তাদের জন্য এলআইসি সবচেয়ে উপযুক্ত একটি বিনিয়োগ মাধ্যম। এখন থেকে প্রায় ১৫-২০ বছর পূর্বে কিষান বিকাশ পত্রে মাত্র ৫ বছরে টাকা ডবল হতো। কিন্তু বর্তমানে কিষান বিকাশ পাত্রে টাকা ডবল হতে সময় লাগে ১০ বছর। তবে বর্তমানে এমন কিছু পলিসি এখনও রয়েছে যেখানে বিনিয়োগ করে পাঁচ বছরে টাকা ডবল করতে পারবেন। ৫ বছরে টাকা ডবল করার অন্যতম সুরক্ষিত বিনিয়োগ মাধ্যম হলো LIC।
LIC ইনভেস্ট প্লাস প্ল্যান হল ইউলিপ, নন-পার্টিসিপেন্ট। এটি একটি প্রিমিয়ামের জীবন বিমা পরিকল্পনা। উক্ত পলিসিতে একটি প্রিমিয়ামে পেমেন্ট করলে মেয়াদপূর্তির পর বীমার সাথে বিনিয়োগ কভার দেওয়া হয় বিনিয়োগকারীদের। আপনি অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও এই পলিসিটি কিনতে পারবেন।
কত বছরে টাকা দ্বিগুণ হবে:
LIC ইনভেস্টমেন্ট প্লাস একটি একক প্রিমিয়াম প্রদানের প্ল্যান। এই পলিসির আওতায় বিনিয়োগকারীদের একবারে সমস্ত টাকাটি বিনিয়োগ করতে হয়। তবে এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্বল্পমাত্রায় রয়েছে ঝুঁকি। কোন বিনিয়োগকারী যদি এই ঝুঁকি নিয়ে উক্ত পলিসিতে অর্থ বিনিয়োগ করেন তবে তিনি ১৫ শতাংশ NAV বৃদ্ধির হারে ৫ বছরে টাকা দ্বিগুণ করতে পারবেন। যদি কোন বিনিয়োগকারী ঝুঁকি কম নিতে চান সেক্ষেত্রে অর্থ ফেরতের হারও কম হবে।
আরও পড়ুন👉: DA অতীত! ৬০০০ টাকা করে কর্মীদের দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার! বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের
এই পলিসিতে বীমা কভার প্রদান করা হবে:
বিনিয়োগকারীরা যদি এই পলিসিতে বিনিয়োগ করেন তবে জীবন বীমার সঙ্গে পাবেন দুর্ঘটনা বীমা কভার। তবে এক্ষেত্রে বীমা কভারের টাকা নির্ভর করবে বিনিয়োগকারির বিনিয়োগ করা অর্থের ওপর। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী যত বেশি অর্থ বিনিয়োগ করবেন সে তত বেশি পরিমাণে বীমা কভার পাবেন। ধরুন আপনি যদি ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তবে আপনি দুর্ঘটনা কভারেজ হিসেবে পাবেন ৩,৭৫,০০০ টাকা।
ডেথ বেনিফিটের সুবিধা:
LIC ইনভেস্টমেন্ট প্লাস পলিসিতে কোনো বিনিয়োগকারী বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি শুরু হওয়ার পূর্বে যদি সেই ব্যক্তির মৃত্যু হয় তবে যিনি নমিনি থাকবেন তিনি কেবলমাত্র ইউনিট তহবিলের টাকা রিটার্ন পাবেন। যদি ওই ব্যক্তির ঝুঁকে শুরু হওয়ার পর মৃত্যু হয় তবে নমিনিকে বিমান টাকা এবং ইউনিট তহবিলের টাকা প্রদান করা হবে।
আরও পড়ুন👉: Google Pay: গুগল পে থেকে ঘরে বসেই ১৫,০০০ টাকা পাবেন! পদ্ধতি জেনে নিন
পলিসি ম্যাচিউরিটির সুবিধা:
এই পলিসিতে বিনিয়োগকারি যদি লাইফ অ্যাসিওর্ড ম্যাচিউরিটির তারিখ অবধি জীবিত থাকেন তবে লাইফ অ্যাসিওর্ড ম্যাচিউরিটি বেনিফিট হিসেবে ইউনিট ফান্ড ভ্যালুর সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।
পলিসি সারেন্ডারের সুবিধা:
এই পলিসিতে বিনিয়োগকারীরা যদি চান তো পলিসি সারেন্ডার করতে পারবেন। যদি কোন বিনিয়োগকারী প্রথম ৫ বছরের প্ল্যান সারেন্ডার করেন তবে সেই বিনিয়োগকারীকে ডিসকাউন্ট চার্জ কেটে ইউনিট ফান্ডের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। পলিসির লক ইন পিরিয়ড (৫ বছর) শেষ হবার পর যদি কোন বিনিয়োগকারি পলিসি স্যারেন্ডার করেন তবে তাকে সমস্ত ইউনিট ফান্ড ভ্যালুর অর্থ রিটার্ন করা হবে।