Money Making Tips: কম পরিশ্রমে প্রচুর টাকা আয়ের সুযোগ! জেনে নিন পদ্ধতি
বর্তমানে চিনা বাদাম চাষ করে একাধিক চাষী লাভবান হয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো বাদুড়িয়ার কৃষকরা। এই চাষে উৎপাদন খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম হওয়ার কারণে অধিকাংশ কৃষক এখন এই চাষের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। অন্যান্য বছরগুলিতে এই চিনা বাদাম খুব একটা চাষ করা হতো না কিন্তু এই বছর চীনা বাদাম চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চাষিরা।
কয়েক বছর থেকে অন্যান্য ফসলের দাম সেরকমভাবে না পাওয়াই হতাশ হয়েছেন চাষীরা। কষ্ট করে পরিশ্রম করার পর সেই ফসলের দাম না পাওয়ায় এখন তারা ভিন্ন পথ অবলম্বন করেছে। প্রথা ভিত্তিক চাষের পরিবর্তে তারা বাদাম চাষ শুরু করেছে।
ধান পাট চাষের জন্য অনেক টাকা বিনিয়োগ করতে হয় পাশাপাশি পরিশ্রম তো রয়েছেই। তারপরে ফলন পাওয়ার পর সে ফসলের দাম খুব একটা পাওয়া যায় না। এই নিয়ে চাষীদের সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। অপরদিকে বাদাম চাষ করলে উৎপাদন খরচ কম লাগে আবার পরিশ্রম কম হয়।
তাই সবদিক বিবেচনা করে বর্তমানে বাদুরিয়ার একাধিক এলাকার চাষীরা তাদের এলাকায় বাদাম চাষ শুরু করেছে। বেলে দো-আঁশ মাটিতে এই চাষ খুব ভালো হয় আর ওই অঞ্চলের মাটিও এরকম। ফলে দুই দিক থেকে সুবিধা হাওয়ায় চাষেও লাভ হচ্ছে ভালোই।
শুধু তাই নয় বাদাম চাষ করলে অন্যান্য ফসলে যেমন কীটনাশক সার প্রয়োগ করতে হয় বাদামে সেরকম কোন ঝামেলা নেই। শুধুমাত্র ফলন ভালো করার জন্য মাঝে মাঝে কয়েকবার ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। তাহলে বাদাম অনেক ভালোভাবে উৎপন্ন হয়।
উৎপাদিত এই বাদামের বাজারে অনেক চাহিদা রয়েছে আর সেই সুবাদেই বিগত কয়েক বছর ধরে বাদাম চাষে আগ্রহী প্রকাশ করছেন চাষিরা। অধিকাংশ চাষে তাদের জমিতে এই ফসল ইতিমধ্যে চাষ করে ফেলেছে আর কিছুদিন পরেই তা পাওয়া যাবে।