Eyes: ব্যাকটেরিয়ার কারণেই মানুষ দেখতে পায়! জানুন কীভাবে?
আমাদের মধ্যে অধিকাংশরই হয়তো জানা নেই যা আমরা চোখে কীভাবে দেখতে পায়? প্রত্যেক প্রাণীর চোখ থাকে এবং তারা এই চোখ দিয়ে কীভাবে দেখতে পায় তা আমরা কোন সময় ভেবে দেখি না। বিজ্ঞানীদের মতে চোখের দৃষ্টি অনেকটাই জটিল, তাই এর সংজ্ঞা বের করাও বেশ জটিল কাজ। শিক্ষা বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন-ও (Charles Darwin) এর জটিলতা কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
কিন্তু বিজ্ঞান এখন যথেষ্ট উন্নত হয়েছে। এখন অনেক জটিল বিষয়ও মানুষের সামনে স্বচ্ছ জলের মত। মেরুদন্ডী প্রাণীদের চোখ কিভাবে কালো ক্রোমে বিবর্তিত হয়েছে ও এর জটিলতা আমরা এখন জানতে পেরেছি।
সম্প্রতি প্রসিডিংস অফ দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্স (Proceedings of the National Academy of Sciences) কর্তৃক প্রকাশক একটি গবেষণা অনুযায়ী চোখের দৃষ্টিশক্তির জটিলতার সম্পর্কে একাধিক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
PlayUnmute ফুলস্ক্রিন দ্বারা চালিত একটি ব্যাকটেরিয়া থেকে আমরা আমাদের দৃষ্টি পেয়েছি৷ এরমধ্যে থাকা একপ্রকার জিন আমাদের শরীরের মধ্যে এসেছিল যা আমাদের চোখের রেটিনার মধ্যে প্রবেশন করে একে আলোর প্রতি সক্রিয় করে তুলেছে।
আরও পড়ুন👉: WBPSC: পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ! জেনে নিন আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত
সম্প্রতি প্রকাশিত এই গবেষণায় সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Sydney) রেটিনাল বায়োলজিস্ট লিং ঝু তার রিপোর্ট পেশ করেছিলেন। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে যেসব মেরুদণ্ডী প্রাণীদের চোখে যাদের হাড় রয়েছে তা খুব জটিল পদ্ধতিতে বিবর্তিত হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের জিনের সংমিশ্রণ। ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে যে জিন থাকে অন্যান্য জিনদের আকর্ষণ করে থাকে এর ফলে ব্যাকটেরিয়া খুব দ্রুত তার মধ্যে থাকা জিন পরিবর্তন করে। ভাইরাস থেকেও এই জিন আসতে পারে। ডি এন এর মধ্যে থাকা ছোট ছোট টুকরো গুলিকে আমরা ট্রান্সপোসন বলি। খোলা জায়গায় ভাসমান ডিএনএ গুলিকে ট্রান্সপোসনও বলা যায়।
আরও পড়ুন👉: Jio-র এইসব রিচার্জ প্ল্যানে সারা বছরের চিন্তা শেষ; রোজ 2.5GB ডেটার সঙ্গে Prime, Hotstar ফ্রি
২০০১ সালে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয় মানুষের শরীরে। আর ওই সময়ে আবিষ্কৃত হয় যে মানুষের শরীরে মোট ২০০টি জিন আছে এই জিন উদ্ভূত হয়েছে ব্যাকটেরিয়া থেকে। এই ব্যাকটেরিয়া একাধিক জায়গা থেকে সৃষ্টি হয়ে থাকে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (University of California) এবং বায়োকেমিস্ট ম্যাথিউ ডোহার্টির দল, সান দিয়েগো সহ অন্যান্য একাধিক প্রজাতির জীবের জিনোম সিকোয়েন্সিং বিষয়ে অধ্যয়ন করেছেন। তারা এই বিষয়ে একাধিক তত্ত্ব প্রদানও করেছেন।
আরও পড়ুন👉: ১৬ টি সরকারি চাকরির প্রস্তাব খারিজ করে আজ IPS তৃপ্তি দেশ সেবার লক্ষ্যে কর্মরত
গুরুত্বপূর্ণ লিংক
আরও পড়ুন👉: WBSSC: নবম-দশমে ২,০৮১ জন শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম! নিয়োগ দুর্নীতিতে ৩৬৫ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার