৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল এই এক স্কুলেই! দিশাহারা প্রচুর শিক্ষার্থী

আমাদের WhatsApp Group-এ যুক্ত হন👉 Join Now

সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২০১৬ সালে এসএসসির পরীক্ষার মাধ্যমে যে ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের নিয়োগ হয়েছিল তাদের সবার চাকরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ আদালতের এই নির্দেশে সম্ভিত হয়েছেন চাকরি-হারা শিক্ষকরা। সঙ্গে একাধিক স্কুলে শিক্ষকের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ঐ সমস্ত স্কুলগুলি সমস্যার মধ্যে পড়েছে।

ঘটনা হচ্ছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের অর্জুনপুর হাইস্কুল-কে নিয়ে। ২০১৬ সালের সমস্ত নিয়োগ বাতিল করে দেওয়ার ফলে ওই স্কুলের একই সঙ্গে ৩৬ জন শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি চলে গিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে ওই স্কুল। ফলে একদিকে শিক্ষকদের যেমন দুশ্চিন্তা তেমন অপরদিকে পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষতির আশঙ্কায় চিন্তিত একাধিক অভিভাবক ও স্কুলের বাকি শিক্ষকরা।

বর্তমানে ওই স্কুলের মোট শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা হল ৬০ জন। আর পার্শ্ব শিক্ষক হিসেবের রয়েছে ৭ জন। এদিকে স্কুল পড়ুয়া মোট ছাত্র-ছাত্রী প্রায় ১০ হাজারের বেশি। প্যানেল বাতিল করে দেওয়ার ওই স্কুলের মোট ৩৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি দিয়েছে। এর ফলে বর্তমানে স্কুলে মোট শিক্ষক শিক্ষিকা থাকছেন ২৪ জন। এত কম শিক্ষক নিয়ে সমস্ত স্কুল কিভাবে পরিচালনা করা যাবে এই নিয়ে স্কুলের বাকি শিক্ষকরাও চিন্তিত সঙ্গে সঙ্গে কম শিক্ষকের পড়াশোনা কীভাবে ভাল হবে সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।

এই ব্যাপারে এই ব্যাপারে অর্জুনপুর হাই স্কুলের টিআইসি জানান যে, “প্রায় দশ হাজারের মতো পড়ুয়া রয়েছে এখানে। কুড়ি জন প্রথম যোগদান করেছিলেন। বাকি ষোলো জন ট্রান্সফার হয়ে এসেছেন। গ্রামীণ এলাকা হিসাবে প্রচুর ক্ষতি হবে।”

আরও পড়ুন👉: SBI-এর গ্রাহকদের জন্য বড় উপহার! এবার থেকে মিলবে এই বিশেষ সুবিধা

আমাদের WhatsApp Group-এ যুক্ত হন👉 Join Now

আবার ওই স্কুলেরই চাকরি হারানো এক শিক্ষক মহম্মদ ইসলাম জানান, “২০২০ যোগদান করি। ট্রান্সফার হয়ে এসেছিলাম। চাকরি বাতিল হয়েছে। যারা অন্যায় করেছে তাদের বাতিল হয়েছে। কিন্তু আমাদের কী দোষ?”

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট ২০১৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষার প্যানেল বাতিল করে দেওয়ায় রাজ্যে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি-বাতিলের ঘোষণা দেন। ওই প্যানেলে এসএসসি গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি, নবম-দশমএকাদশ-দ্বাদশ বিভাগে অনেক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে এই নির্দেশ দেন  বিচারপতি দেবাংশু বসাক (Debangshu Basak) ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন👉: Primary TET: ২০১৭-র প্রাইমারী টেট নিয়ে বড় খবর সামনে এলো! চিন্তা বাড়ছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের

গুরুত্বপূর্ণ লিংক

👉 আরও Latest চাকরির খবর দেখুন
👉 WhatsApp Group-এ যুক্ত হন

আরও পড়ুন👉: WhatsApp-এর নতুন ফিচার! ইন্টারনেট ছাড়াই এই ভাবে পাঠানো যাবে ছবি!