৩০০০ টাকা পেনশন পাবেন, কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন?

আমাদের WhatsApp Group-এ যুক্ত হন👉 Join Now

কেন্দ্রীয় সরকারের (Government of India) তরফ থেকে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে একাধিক সুবিধা চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ই-শ্রম কার্ড (e-Shram Card) হলো অন্যতম। ভারতের যেসব অসংগঠিত শ্রমিকরা আর্থিক দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে তাদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ই-শ্রম কার্ড চালু করেছে।

এই ই-শ্রম কার্ড (e-Shram Card)-এর মাধ্যমে পেনশন থেকে শুরু করে দুর্ঘটনা বীমার মতো একাধিক সুবিধা পাওয়া যায়। তবে অনেকেই জানেন না কীভাবে ই-শ্রম কার্ডের (e-Shram Card) জন্য আবেদন করবেন। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে আপনাদের সেই বিষয়েই জানাবো। চলুন জেনে নেওয়া যাক।

ই-শ্রম কার্ড কী? (Abour e-Shram Card)

দেশের যেসব মানুষ ছোটখাটো কাজ যেমন দিনমজুর, ছোট ব্যবসা এর মাধ্যমে আয় করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে সরকার তাদের জন্য এই কার্ড চালু করেছে।

এই ই-শ্রম কার্ড মূলত জাতীয় ডেটাবেসের অংশস্বরূপ ভারতের শ্রম মন্ত্রণালয় দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে। এই কার্ডের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ কোন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলে সরকার করছে আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বৃদ্ধ বয়সে মাসিক পেনশন হিসেবে মোটা অংকের অর্থ পাওয়া যায়।

ই-শ্রম কার্ড-এর সুবিধা (Advantages of e-Shram Card)

১) সাধারণ মানুষ যাদের ই-শ্রম কার্ড করা রয়েছে তারা ৬০ বছর বয়সের পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে আবেদন পাবে।

আমাদের WhatsApp Group-এ যুক্ত হন👉 Join Now

২) ই-শ্রম কার্ডধারী ব্যক্তি যদি কোন পড়াশোনার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক ক্ষতিপূরণভাবে ২ লক্ষ টাকা পাবে। বা আংশিক বা শরীরের কোন অংশের অল্প ক্ষতি হলে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ শুধু পাবে।

৩) এই কার্ডের মাধ্যমে দেশের গর্ভবতী মহিলা গ্রাহকদের যারা গর্ভবতী অবস্থায় কাজ করতে অক্ষম তাদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে।

৪) এই কার্ডের মাধ্যমে দেশের গৃহহীন শ্রমিকদের বাড়ি তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য প্রদান করে সরকার। পাশাপাশি এই কার্ড এর মাধ্যমে কার্ড হোল্ডারদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্যও বৃত্তি বা আর্থিক সাহায্য প্রদান দেওয়া হয়।

কার আবেদন করতে পারবেন?

১) দেশের যেসব মানুষ দিনমজুর, শ্রমিক বা স্বল্পমূল্যের আয় করে জীবন ধারণ করে বা যাদের মাসিক আয়ের কোন উৎস নেই তারা এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবে।

২) ই-শ্রম কার্ডে আবেদন করার জন্য আবেদনকারী প্রার্থীর বয়স ১৬ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে হতে হবে।

৩) দেশের যেসব নাগরিকরা আয়কর প্রদান করেন বা EPFO এবং ESIC-এর ভোক্তা বা সদস্য রয়েছেন তারা এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

আবেদন করতে কি কি লাগবে?

১) আধার কার্ড

২) প্যান কার্ড

৩) পাসপোর্ট সাইজ ছবি

৪) ব্যাংকের পাস বই

৫) আধার কার্ডের সঙ্গে লিংকযুক্ত মোবাইল নম্বর

৬) অন্যান্য

আবেদন প্রক্রিয়া (How to apply for e-Shram Card)

১) আবেদন করার জন্য প্রথমেই কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট eshram.gov.in-এ যেতে হবে।

২) সেখানে গিয়ে ‘New Registration’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

৩) এরপর ‘Registration on E Labour’ তে ক্লিক করে আধার নম্বরের সাথে সংযুক্ত মোবাইল নম্বরটি দিতে হবে।

৪) নির্ধারিত নম্বরে একটি ওটিপি আসবে সেটি সঠিক জায়গায় লিখতে হবে।

৫) এর পর নির্দেশ মতো নিজের প্রয়োজনীয় তথ্য নির্দিষ্ট জায়গায় লিখে সবশেষে সাবমিট করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *