ভাগ্য খুলতে পারে ২ হাজার ৫১৩ জন শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীর, পর্ষদকে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে আবারও খুশির সংবাদ। সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) তরফ থেকে ২৫১৩ জন চাকরিপ্রার্থীর তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। এই চাকরিপ্রার্থীদের এবার কি হবে তা নির্ধারণ করবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)।
২০২০-২২ ব্যাচের ডি এল এড প্রার্থীরা প্রাথমিকে সহকারি শিক্ষক পদে অংশ নিতে পারবেন কিনা তা সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ঠিক করবে। ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারা কারা অংশগ্রহণ করেছিল এই সম্পর্কিত বিস্তারিত একটি তথ্য আদালতে জমা করে সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না (Ajjikuttira Somaiah Bopanna) ও বিচারপতির সঞ্জয় কুমারের (Puligoru Venkata Sanjay Kumar) বেঞ্চ। আদালতে এর পড়াশোনায় রয়েছে আগামী ২৩ জুলাই তারিখে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ২০২২ সালে মোট ১১৭৫৮ পদে শূন্য পদের কথা জানিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। মোট শূন্যপদের মধ্য থেকে ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে নিয়োগ করা হয় ৯৫৩৩ জন প্রার্থীকে।
আর বাকি যে শূন্যপদ গুলি পড়ে থাকে সেগুলোতে শিক্ষক নিয়োগের জন্য পুনরায় একটি তালিকা প্রস্তুত করে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারীর আইনজীবী পিএস পাটওয়ালিয়া এই বিষয়টি সম্পর্কে জানান।
আবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে কুনাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এদের অনেকেরই নিয়োগের সময়কালে ডিএলএড কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার শংসাপত্র ছিল না। তাই নিয়োগ আটকে রাখা হয়। আমরা কারও চাকরি রোখার পক্ষে নই। তবে জটিলতা কাটাতে চাই।”
তবে আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মোট ১১৭৫৮ জন শিক্ষক নিয়োগের কথা বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় আর ওই সময়ে যারা আবেদন করে তাদের অধিকাংশ ডি এল এড কোর্স সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল। শুধুমাত্র তার সার্টিফিকেট আসতে দেরি ছিল। কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে তাদের চাকরিতে নিয়োগের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
বিচারপতি বোপান্না (Ajjikuttira Somaiah Bopanna) ও বিচারপতির সঞ্জয় কুমারের (Puligoru Venkata Sanjay Kumar) বেঞ্চ উভয় পক্ষের সমস্ত জবান শোনার পর নির্দেশ দেয় ওই ২৫১৩ জন চাকরি প্রার্থীর নাম রেজাল্ট সহ পর্ষদ কে আদালতে জমা করতে হবে আর সেটার উপর নির্ভর করে আদালতের পরবর্তী শুনানি ঘোষণা করা হবে।