Abhijit Ganguly: কলকাতা হাইকোর্টের বড় নির্দেশ অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে নিয়ে

আমাদের WhatsApp Group-এ যুক্ত হন👉 Join Now

কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) মামলায় বড় ঘোষণা। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের (Tirthankar Ghosh) একক বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে। বিজেপি প্রার্থী তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালতের তরফ থেকে আগামী ১৪ জুন কোন রকমের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে না।

আদালত যখন এই নির্দেশিকা জারি করে ওই সময় অরবিন্দ কেজরীওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিনের প্রসঙ্গ ও বিচারপতির মুখে শোনা যায়। তার নাম উল্লেখ করেই তিনি নির্দেশিকা জারি করার সময় ঘোষণা করেন মামলাকারী যেহেতু নিজেও একজন প্রার্থী তাই আদালত এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১২ জুনের পরে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে একটি প্রতিবাদ অবস্থানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আর ওই দিনই তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনোনয়ন পেশের দিন ছিল।

তার নামে অভিযোগ আসে যে দলীয় প্রার্থীর সমর্থন করার উদ্দেশ্যে বিজেপি দল একটি মিছিল বের করে সেখানে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) উপস্থিত ছিলেন, ওই মিছিলের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির থাকাকালীন অবস্থাতে হামলা করা হয়। অভিযোগ এই মর্মে আসে যে, বিজেপি প্রার্থীর জেরে এই হামলা করা হয়েছে ফলে এর জন্য দায়ী তারা।

আর এই মর্মে তমলুক থানায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) নামে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির পক্ষের আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতে জানান যে বিজেপির পক্ষে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা তাই এ সমস্ত অভিযোগ বাতিল করা হোক।

আমাদের WhatsApp Group-এ যুক্ত হন👉 Join Now

এর প্রতি উত্তরে রাজ্যের তরফ থেকে এজি কিশোর বলেন, “৪ মের ঘটনাপ্রবাহ দেখে এই অভিযোগ করা হয়েছে। হসপিটাল মোড়ের কাছে পদযাত্রা নিয়ে ঘটনা ঘটেছে সেটা অস্বীকার করা যায় না। পুলিশ দেখে ধর্তব্য যোগ্য অপরাধ কি না। তারপর এফআইআর করা হয়। আদৌ মিছিলের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না সেটা ওই সময়ে দেখা সম্ভব হয় না। ভুল তথ্য হলেও অভিযোগ নিতে হয়।”

আবার এই বিষয়ে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী মত, “বিষয়টি খুব লঘু হয়ে যাচ্ছে। একবার বলছেন ধর্তব্যযোগ্য অপরাধে এফআইআর করা হয়। আবার বলছেন ভুল তথ্য হলেও সেটা গ্রহণ করবেন?” এর উত্তরে এজি কিশোর বলেন, “অভিযোগ নেওয়ার সময় এটা দেখা সম্ভব হয় না।”

আদালত সমস্ত বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করার পর সিদ্ধান্তে আসতে চাইছে। আদালতের মত এর জন্য প্রার্থীকে কোনরকম ভাবে বিরক্ত করা যাবে না। এ বিষয়ে তদন্তের প্রস্তাব জানালে বিচারপতি প্রতিউত্তরে একাধিক বিষয় উপস্থাপন করেন। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী যদিও এটি রাজনৈতিক বিভেদের চোখে দেখা হচ্ছে না তবুও যার নামে অভিযোগ আনা হয়েছে তিনি হলেন একজন বিজেপি প্রার্থী অপরদিকে যিনি অভিযোগ করেছেন তিনি তৃণমূলের।

আর নিয়োগ মামলায় যাকে গ্রেফতার করা হয় তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন মন্ত্রী ছিলেন। তাই আদালত পর্যবেক্ষণ করার পর নির্বাচনের ফল প্রকাশ পর্যন্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Gangopadhyay) স্বস্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। আগামী ১৪ জুনের আগে পর্যন্ত কোনরকম পদক্ষেপ আদালত গ্রহণ করবে না।

গুরুত্বপূর্ণ লিংক

👉 আরও Latest চাকরির খবর দেখুন
👉 WhatsApp Group-এ যুক্ত হন